নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ ভূমিদস্যুতা, দূর্নীতি,চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যাওয়া আঃ হামিদের বিরুদ্ধে আবারও এক নারীর জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত আঃ হামিদ সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের চরগোয়ালদী এলাকার মৃত হাজী সরফত আলীর ছেলে।
ভুক্তভোগী নারী মেহেরুন্নেসা জানান,সোনারগাঁ উপজেলার চেঙ্গাইন মৌজায় আরএস ১৩০৪,১৩০৫ ও ১৩০৬ নং দাগে মোট ৭০ শতাংশ জায়গা ভোগ দখল করে আসছিলাম।হঠাৎ আঃ হামিদ নামের এক ভূমিদস্যু আমার জায়গায় জোরপূর্বক বালু ভরাট করে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করে জোরপূর্বক দখল করে রাখে।এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলে সে বিভিন্ন ভাবে আমাকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। কোন প্রতিকার না পেয়ে স্থানীয় প্রশাসন এবং জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। আঃ
হামিদ এলাকার স্থানীয়রা জানান, আঃ হামিদ প্রথমে পল্লী বিদ্যুতের মিটারের বিল লেখার চাকরী করতেন।তখন বিভিন্ন কোম্পানির বিল কম লিখে অভিনব কায়দায় লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিতেন।পরবর্তীতে সে এলাকার বিভিন্ন অসহায় মানুষদের ওয়ারিশের ঝামেলাপূর্ণ জমি ক্রয় করে জোরপূর্বক দখল করতে থাকে। আঃ হামিদ থেকে মূহুর্তেই হয়ে যায় হামিদ সাহেব।
তার নিজ এলাকা পাশে পাচানী গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মেঘনা নদীর তীরের অংশে বালু ফেলে নদী দখল করে আঃ হামিদ।তাছাড়া তার অবৈধ টাকায় ঢাকার শনিরআখড়া এলাকায় ৫ টি বহুতল বিল্ডিং ও একটি অবৈধ কয়েল কারখানা তৈরী করে ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজ আঃ হামিদ। হামিদ আলীর চাচাতো বোনের ছেলে মনির হোসেন মেম্বার ও তার ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে বাড়ীতে গিয়ে হামলা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে ৩৮৫ ধারায় তার বিরুদ্ধে ৩১ অক্টোবর ২০০৬ সালের একটা মামলা দায়ের হয়।যার নাম্বার ৬৪। মনির মেম্বারের পাচকানি মৌজায় সিএস,এসএ ও আরএস-৫ নং দাগে ৬ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগও রেয়েছে এই আঃ হামিদ বিরুদ্ধে।
তাছাড়া ২০০৩ সালে ওই এলাকার চাঞ্চল্যকর আবদুল্লাহ হত্যা মামলার প্রধান আসামী ছিলেন এই আঃ হামিদ।
শনিরআখরা এলাকায় তার কোয়েল কারখানায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে আঃ হামিদ। তাছাড়া এর আগে তার শনিরআখরা এলাকায় বাড়ী থেকে অস্ত্র ও গুলি সহ র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলো এই চাঁদাবাজ আঃ হামিদ। আঃ হামিদ প্রথমে অবৈধ টাকার মালিক হয়ে বিএনপির সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রেজাউল করিমের সঙ্গে সক্ষতা তৈরী করে ভূমিদস্যুতায় মেতে উঠে।
এ বিষয়ে আঃ হামিদকে ফোন করলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা বলে জানান।
স্থানীয় এলাকাবাসী আরও জানান,হামিদ আলি একজন চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও ভূমিদস্যু।তার হাত থেকে তার নিকট আত্নীয় স্বঝনরাও রক্ষা পায়নি। তাকে দূর্নীতিবাজ হিসেবেই সবাই চিনে।তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে দূদকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই তার অবৈধ সম্পদের রহস্য উদঘাটন হবে দাবী এলাকাবাসীর।