নিজস্ব সংবাদদাতা : স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার পতনের পর কিছু স্বার্থলোভী কুচক্রীমহল ব্যক্তিগত আক্রোশে সাধারণ জনগণ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের হয়রানি করার লক্ষ্যে জুলাই ও আগস্ট মাসের হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন মামলায় বেশ কিছু সাধারণ মানুষের নাম এজাহার ভুক্ত করিয়াছেন, এমনটাই মনে করেন সাধারণ জনগণ।
এ সমস্ত মামলা থেকে অব্যাহতির দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার ২৮ শে আগস্ট বেশ কিছু এজহার ভুক্ত আসামি নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর মামলা থেকে অব্যাহতির দাবি জানিয়ে আবেদন করেন।
নিম্নে আবেদনকারীদের বয়ান হুবহু তুলে ধরা হলো।
১)আমি আব্দুল বারেক, লক্ষ্মীনগর, বক্তাবলী, ফতুল্লা, নাঃগঞ্জ এর স্থায়ী বাসিন্দা ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। আমি ইতিপূর্বে কোন রাজনৈতিক দলের সাংগঠনিক পদ বা কোন কর্মকান্ডে জড়িত ছিলাম না। ব্যক্তিগত আক্রোশের কারনে মোঃ সিপন (৩৪), জাতীয় পরিচয়পত্র নং- ৫৫৫২০০৮৮১৪, পিতা- লাল মিয়া, বাদী হইয়া আমার নামে ফতুল্লা থানা মামলা নং- ৩০(৮)২৪ তে অন্তর্ভুক্ত করিয়াছে যা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
২) আমি আব্দুল মতিন একজন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), ফতুল্লা ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ডের প্রাথমিক সদস্য। আমি ইতিপূর্বে আওয়ামীলীগের কোন সাংগঠনিক পদ বা কোন কর্মকান্ডে জড়িত ছিলাম না। ব্যক্তিগত আক্রোশের কারনে নামধারী বিএনপি নেতা রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম টিটু এবং একজন সাংবাদিক নামধারী দালাল আমার নামে ফতুল্লা থানা মামলা নং- ৩০(৮)২৪ তে অন্তর্ভুক্ত করিয়াছে যা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
৩) আমি সুমন কাজি একজন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), ফতুল্লা ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ডের প্রাথমিক সদস্য। আমি ইতিপূর্বে আওয়ামীলীগের কোন সাংগঠনিক পদ বা কোন কর্মকান্ডে জড়িত ছিলাম না। ব্যক্তিগত আক্রোশের কারনে নামধারী বিএনপি নেতা রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম টিটু এবং একজন সাংবাদিক নামধারী দালাল আমার নামে ফতুল্লা থানা মামলা নং- ৩০(৮)২৪ তে অন্তর্ভুক্ত করিয়াছে যা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
৪) আমি আরাফাত কাজী একজন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), ফতুল্লা ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ডের প্রাথমিক সদস্য। আমি ইতিপূর্বে আওয়ামীলীগের কোন সাংগঠনিক পদ বা কোন কর্মকান্ডে জড়িত ছিলাম না। ব্যক্তিগত আক্রোশের কারনে নামধারী বিএনপি নেতা রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম টিটু এবং একজন সাংবাদিক নামধারী দালাল আমার নামে ফতুল্লা থানা মামলা নং- ৩০(৮)২৪ তে অন্তর্ভুক্ত করিয়াছে যা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
৫)আমি হান্নান কাজী একজন ব্যবসায়ী, কাজী মোল্ডিং এন্ড আয়রন ওয়ার্কশপ প্রতিষ্ঠানের মালিক হই বটে। গত ০৫/০৮/২০২৪ ইং তারিখে রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর নির্দেশে আনুমানিক ২০০/২৫০ জন সন্ত্রাসী আমার প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও প্রায় ৫৩,০০,০০০/- (তিপান্ন লক্ষ) টাকার মালামাল লুট করে। আমার ব্যবসায়ে ঈর্ষান্বিত হইয়া ব্যক্তিগত আক্রোশের কারনে নামধারী বিএনপি নেতা রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম টিটু এবং একজন সাংবাদিক নামধারী দালাল আমার নামে ফতুল্লা থানা মামলা নং- ৩০(৮)২৪ তে অন্তর্ভুক্ত করিয়াছে যা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
৬।আমি নাজমুল হোসেন সবুজ একজন ব্যবসায়ী এবং ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত মেম্বার। আমার ব্যবসায়ে ঈর্ষান্বিত হইয়া ব্যক্তিগত আক্রোশের কারনে নামধারী বিএনপি নেতা রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম টিটু এবং একজন সাংবাদিক নামধারী দালাল আমার নামে ফতুল্লা থানা মামলা নং- ৩০ (৮)২৪ ও ২৬(৮) ২৪ দায়ের করে। যাহা সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলক, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
৭। আমি আব্দুর রশিদ মেম্বার একজন ব্যবসায়ী। আমার ব্যবসায়ে ঈর্ষান্বিত হইয়া ব্যক্তিগত আক্রোশের কারনে নামধারী বিএনপি নেতা রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম টিটু এবং একজন সাংবাদিক নামধারী দালাল আমার নাম ফতুল্লা থানা মামলা নং- ৩০(৮)২৪ তে অন্তর্ভুক্ত করিয়াছে। যাহা সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলক, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
আবেদন কারিগণ, এ সমস্ত মামলা থেকে অব্যাহতি দান করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের নিকট আবেদনের মাধ্যমে বিশেষভাবে অনুরোধ করেন।