রিপোর্টার- স্বাগতম বসাক, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, প্রাচীনকাল থেকেই এ অঞ্চলের শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা দেশের ঐতিহ্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে ধারণ করে আসছে। তবে এখানে সঠিক কবে থেকে তাঁত শিল্পের উদ্ভব তা বলা মুশকিল। কামারখন্দ উপজেলার পাইকশা, মধ্যভদ্রঘাট(কারিগরপাড়া), চর দোগাছিতে তাঁত ব্যবসার ব্যাপক বিস্তার রয়েছে। এসব গ্রামের ৯০% লোক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে তাঁত শিল্পের সাথে জড়িত। এ শিল্পের আশীর্বাদে এসব গ্রামের লোকজন তুলনামূলকভাবে অন্যান্য গ্রামের লোকজন থেকে ধনী। এখানে শাড়ি, লুঙ্গী, গামছা ইত্যাদি তৈরি করা হয়। এদের রয়েছে নিজস্ব সঙ্গীত। যা নিজেদের কাজকর্মের সময় তারা গেয়ে থাকে।
পূর্বে শুধুমাত্র হস্তচালিত তাঁতে কাপড় তৈরি হলেও বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় পাওয়ারলুম ও হস্তচালিত তাঁতে কাপড় তৈরি হচ্ছে। পাওয়ারলুমের ব্যবহার তাঁত শিল্পকে অনেকটা সমৃদ্ধ করেছে। এর মাধ্যমে কাপড়ের পাড়ে মনোমুগ্ধকর সব নকশা করা হচ্ছে এবং কাজ দ্রুত হচ্ছে। সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের রুচি, পছন্দ ও বৈচিত্র্যের পরিবর্তন ঘটছে, তার সাথে পাল্লা দিয়ে এখানে কারুকার্যখচিত আধুনিক নকশাসমৃদ্ধ তাঁতের শাড়ি, লুঙ্গী, গামছা তৈরি হচ্ছে। বিখ্যাত পর্যটক ইবনে বতুতা ও হিউয়েন সাঙের ভ্রমণ কাহিনীতে এ অঞ্চলের শাড়ির কথাটি উল্লেখ রয়েছে।
মধ্যভদ্রঘাট(কারিগরপাড়া) এর আব্দুল মমিন চাচা জানান যে, সুতার দাম বেশি হওয়ায় এ ব্যবসায় টিকে থাকা কঠিন হচ্ছে, সুতার দাম কমালে এ ব্যবসার দ্রুত প্রসার ঘটবে।