নিউজ ডেস্কঃ-
হাসমত আলী পূর্ব সনমান্দী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি । আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের ১৬ বছর তিনি বিএনপির নেতা কর্মীদের কোনঠাসা করে অবৈধ পথে আয় রোজগার করেছেন। ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগের পতনের আগে ৩১ শে জুলাই তার ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন এমপি মহোদয়ের সাথে যাত্রাবাড়ীতে অবস্থান ৫ ই আগস্ট এর পর তিনি সংস্কারবাদী একজন নেতার বাসায় গিয়ে ক্ষমা চেয়ে আবারো বিএনপিতে ফিরতে চেষ্টা করছেন।

সনমান্দী গ্রামের রিক্সাওয়ালা দিনমজুর থেকে শুরু করে সবার কাছ থেকেই তিনি সারা বছর টাকা ধার নেন আর ফেরত দেন না। তার কাছে টাকা ফেরত চাইতে গেলে পাওনাদারদের মামলা দেওয়ার ভয় দেখাতেন।

গত শুক্রবার(২৫ অক্টোবর) সনমান্দী গ্রামের একটি মসজিদে জুম্মার নামাজে আগে জোর করে বক্তব্য দেওয়ার সময় মুসল্লিরা তার কাছ থেকে মাইক কেড়ে নিয়ে মসজিদ থেকে অপমান করে তাকে বের করে দেন।

সোনারগাঁয়ের সাবেক এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা, কায়সার হাসনাত,ইউনিয়ন, গাজী মজিবরের নেতৃত্বে প্রতিটি আওয়ামী লীগের সভায় ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগের নির্বাচন করে জন প্রিয়তাহীন এ নেতা অনেক টাকা আত্মসাৎ করেছেন এমনকি সনমান্দী হাফিজিয়া মাদ্রাসার টাকা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তুলে এনে তিনি আত্মসাৎ করেছেন। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এখনো টাকা বুঝে পায়নি। আওয়ামী লীগের সরকারের পরিবর্তনের পর এখন তিনি আওয়ামী লীগ ছেড়ে বিএনপিতে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।

ছবিতে দেখা যাচ্ছে ফ্যাসিবাদ সরকারের আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এর সহযোগী ঢাকা মহানগর শ্রমিকলীগ এর সহযোগী হাসমত আলীকে নিয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর সনমান্দীতে বিএনপির আলোচনা সভায় হাসমত আলীকে দেখা যায়।

কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য ও সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান প্রতিবেদক জানান, হাসমত আলী সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির কেউ না।