বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:১২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির মুখ্য সংগঠক জাহিদুল হক বাঁধন বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশনের নারায়ণগঞ্জ জেলার নবগঠিত কমিটি গঠন সিদ্ধিরগঞ্জে জমি দখল করে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে হেলাল গংদের বিরুদ্ধে সংবাদ সন্মেলন সোনারগাঁওয়ে লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব শুরু চট্টগ্রামের পটিয়ায় শহীদ হিমাংশু স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন চাঁদাবাজি জমি দখলের একটা অভিযোগ দিতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দিবো ঃ মাজারুল  ইসলাম হিরন সোনারগাঁয়ে ডিগবার ফুটবল খেলার পুরস্কার বিতরণ সোনারগাঁওয়ে লোকজ উৎসব ২০২৫ শুরু আগামী ১৮ জানুয়ারি  সোনারগাঁয়ে ধর্ষণে কিশোরী অন্তঃসত্বার ঘটনা বিএনপি নেতাদের শালিসে ১৩ লাখ টাকায় রফাদফা কামারখন্দ উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা পদক পেলেন গীতা রানী বসাক ।

জামায়াতে ইসলামের আমীর ডা. শফিকুর রহমান শাহাদাত বরণকারী ৩০জন পরিবারের মাঝে প্রত্যেককে ২ লক্ষ টাকা করে প্রদান করেন।

  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৪
  • ৬৪ বার পঠিত
Oplus_0

মোঃ মাসুম বিল্লাহঃ-চিটাগাং রোড বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকাল ৭ ঘটিকার সময় চিটাগাং রোড এলাকার মা হাসপাতালের বিপরীত পার্শ্বে গ্রীন গার্ডেন সেন্টারে নারায়ণগঞ্জ মহানগরের জামায়াতে ইসলামীর আমির আব্দুল জব্বারের সভাপতিত্বে মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আন্দোলনে নিহত ৩০টি পরিবারের মধ্যে নগদ দুই লাখ টাকা করে অর্থ সহায়তা করা হয়।মোট ৬০লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমিরে জামায়াত বলেন, ‘গত সাড়ে ১৫ বছর একটি দলের ওপর যে রকম জুলুম করা হয়েছে, সে জুলুম বাংলাদেশের অন্য কোনো দলের ওপর করা হয়নি। সে দলটার নাম বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
এই দলের একে একে ১১ জন দায়িত্বশীল শীর্ষ নেতাকে অত্যন্ত ঠাণ্ডা মাথায় বিচারের নামে জুলুম করে হত্যা করা হয়েছে। শত শত কর্মীকে গুম করা হয়েছে। হাজার হাজার কর্মীকে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে।

দুই নয়ন খুলে নেওয়া হয়েছে। হাত-পা কেটে ফেলা হয়েছে। কী যন্ত্রণা আমরা বুকে নিয়ে চলছিলাম। কিন্তু আমরা পরিষ্কার ঘোষণা করছি, আমরা কারো ওপর প্রতিশোধ নেব না।

তিনি বলেন, ‘প্রতিশোধ প্রতিহিংসার জন্ম দেয়। প্রতিহিংসা সমাজে খুনের পরিবেশ সৃষ্টি করে। আমরা সামগ্রিকভাবে ক্ষমা করে দিতে চাই কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে যে অপরাধ করেছেন, ইনসাফের দাবি হচ্ছে তাকে তার অপরাধের শাস্তি পেতে হবে। কিন্তু তাই বলে আমরা কেউ আইন হাতে তুলে নেব না।’

আমিরে জামায়াত আরো বলেন, ‘শহীদরা আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ।

তাদের আত্মত্যাগের কারণে জাতি আজ ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে মুক্ত হয়েছে। যারা শহীদ হয়েছে তারা জাতীয় বীর। যুগ যুগ ধরে জাতি এদেরকে স্মরণে রাখবে। তিনি সবাইকে যেন আল্লাহ তায়ালা শাহাদাতের মর্যাদা দান করেন এ জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন এবং পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।’

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে যারা জন্মগ্রহণ করে বসবাস করে সবাই বাংলাদেশের সম্মানিত নাগরিক। এখানে সংখ্যালঘু বলে কেউ নেই। আমার কাছে সবাই সমান। সবার মান-সম্মান-ইজ্জত আমার কাছে সমান মর্যাদার। জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা অমুসলিমদের বাড়িঘর ও মন্দির পাহারা দিয়েছে। পুলিশ সদস্যরা এই সমাজেরই একটা অংশ। তারা যেন আবারও কোনো সরকারের পেটুয়া বাহিনীতে পরিণত না হয়, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য মঈনুদ্দিন আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা আমীর মমিনুল হক সরকার, নারায়ণগঞ্জ জেলা সেক্রেটারি জাকির হোসেন, কেন্দ্রীয় সূরা সদস্য ড. ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া প্রমুখ।

Facebook Comments Box
এ জাতীয় আরও খবর